চীনা কর্তৃপক্ষ উইঘুর শিশুদের পরিবার থেকে জোরপূর্বক আলাদা করছে এবং তাদের মুসলিম পরিচয় মুছে ফেলার উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোতে “চীনা কমিউনিস্ট” হিসেবে বড় হতে বাধ্য করছে।
সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিও এই নৃশংস নীতির ভয়াবহ বাস্তবতা স্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তোলে যেখানে সারাদিনের মগজধোলাই শেষে ক্লান্ত শিশুদের মাটিতে শুয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে।
এই নীতি শুধুমাত্র মুসলিম শিশুদের জীবন বিপন্ন করছে না বরং উইঘুর সম্প্রদায়ের দীর্ঘমেয়াদি সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অস্তিত্বকেও হুমকির মুখে ফেলেছে।
বেইজিংয়ের এই একীভূতকরণ ও নিপীড়ন কেবল ব্যক্তিগত নয়; এটি মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর পরিচালিত রাষ্ট্রীয় দমননীতির প্রমাণ।
২০১৭ সাল থেকে চীনের শিনজিয়াং অঞ্চলে লাখো উইঘুর মুসলিমকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। এই শিবিরগুলোতে বন্দীদের ওপর চলমান নির্যাতন, জোরপূর্বক শ্রম, গর্ভপাত, ধর্মীয় নিপীড়ন এবং মগজধোলাই করা হচ্ছে এমনকি বাদ যাচ্ছে না নিষ্পাপ শিশুরাও। বন্দী শিবিরগুলোর আসল উদ্দেশ্য পরিষ্কার: চীনা সরকার উইঘুর মুসলিমদের সংস্কৃতি, বিশ্বাস এবং পরিচয় চিরতরে মুছে ফেলতে চায়।