মাইন বিস্ফোরণ চালিয়ে রোহিঙ্গাদের বাস্তচ্যুত করছে সন্ত্রাসী আরাকান আর্মি

6136239511626172914_121

বাংলাদেশে অবস্থানরত বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা শরণার্থী নিশ্চিত করেছেন যে আরাকানের মংডু শহরে ব্যাপকভাবে পুঁতে রাখা মাইন তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে বাধা দিচ্ছে, যেখান থেকে তারা যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছিল। কেউ কেউ আরও দাবি করেন যে এই মাইনগুলি মূলত এই উদ্দেশ্যেই পুঁতে রাখা হয়েছিল।

নূর নামে একজন রোহিঙ্গা শরণার্থী জানান,
মংডুতে সংঘাত শুরু হওয়ার কয়েক মাস পর তার পরিবারের বাড়ির প্রবেশপথে একটি ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে তার ডান পায়ে মারাত্মক জখম হয়। পরে ডান পা কেটে ফেলতে হয়। এছাড়া তার দুই ভাইও মারাত্মক আহত হয়েছেন।

নূর আরো বলেন,
গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর অনেক বাড়ির চারপাশে মাইন স্থাপন করা হয়েছিল। একারণে রোহিঙ্গারা তাদের নিজ বাড়িতে ফিরে আসতে অত্যন্ত ভয় পাচ্ছে। তারা নিশ্চিত যে তাদেরকে ফিরে আসতে বাধা দেওয়ার জন্য মাইন স্থাপন করা হয়েছিল।

এই ঘটনার পর নূর এবং তার পরিবার আরাকান থেকে বাংলাদেশে চলে আসে এবং সেখানে শরণার্থী হিসেব ক্যাম্পে বসবাস করছে।

২০২৪ সালের ল্যান্ডমাইন মনিটর ইনডেক্স অনুসারে,
মায়ানমারকে ল্যান্ডমাইন হতাহতের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশ হিসেবে স্থান দেওয়া হয়েছে। সেখানে ২০২৩ সালে ১,০০৩ জন বেসামরিক লোকের মৃত্যু বা আহত হওয়ার ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। এটি ২০২২ সালের রেকর্ডের প্রায় তিনগুণ। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ৬৯২ জন রোহিঙ্গা হতাহত হয়েছেন যার মধ্যে অনেক শিশুও রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি।

পরিস্থিতি এভাবে চলতে থাকলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়বে। তাই আন্তর্জাতিক মহলের উচিত দ্রুত আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা।

Follow Us