ছবিটিতে আমরা দেখতে পাচ্ছি একটি শিশু তার মাসহ সাগরে হেটে তীরের দিকে যাচ্ছেন। শিশুটির চেহারা বলে দিচ্ছে, কতটা আতঙ্ক ও মৃত্যুঝুঁকিতে সে এবং তার মা রয়েছে।
তারা আর কেউ নন, রোহিঙ্গা শরণার্থী যারা এখনো সাগরপথে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে বেড়াচ্ছেন।যারা সাগরপথে অন্যত্র পাড়ি দেন তারা যে কতটা লাইফরিস্কে থাকেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
সন্ত্রাসী আরাকান আর্মির ক্রমাগত নির্যাতনের কারণে আজ তারা সাগরপথে পাড়ি দিতে বাধ্য হচ্ছেন। ইসরাইলী কায়দায় এখনো মগসন্ত্রাসীরা রোহিঙ্গাদের উপর ক্র্যাকডাউন চালিয়ে যাচ্ছে। গত কয়েকমাসে আরাকান আর্মির হাতে দুইহাজারেরও অধিক রোহিঙ্গা মুসলিম শহীদ হয়েছেন। ক্ষুধার অভাবে ২৫ জনেরও অধিক রোহিঙ্গা শিশু শহীদ হয়েছে। কিন্তু আমাদের কাছে এসব নিত্তনৈমিত্তিক ঘটনার মতো হয়ে গেছে।
আরাকান মানচিত্রটি আমাদের বাড়ির ঠিক পাশেই। কিন্তু আমাদের মনস্তত্ত্বের মানচিত্রে আমরা তাকে বহুদূরে ঠেলে দিয়েছি। আমরা এতটাই নির্জীব হয়ে গেছি যে, তাদের নির্যাতনের ভিডিওর সামনে বসেও হাতে থাকা ফোনে নির্লিপ্তভাবে স্ক্রল করি। আমাদের মনোযোগ থাকে শুধু পরের সংবাদে, পরের বিনোদনে।
যদি আমরা সত্যিকার অর্থে আল্লাহকে ভয় করি, তাহলে আমাদের দরকার ছিল আরাকান নিয়ে কথা বলা, তাদের জন্য কাজ করা। আমরা যদি আজ মজলুমদের বিপদ দূর করার জন্য কাজ না করি, তাহলে কাল এর চেয়েও ভয়াবহ বিপদ আমাদের উপর নেমে আসবে। আল্লাহর পাকড়াও থেকে আমরা কেউ রক্ষা পাবো না।